কম্পিউটার কি, কম্পিউটারের কাজের পদ্ধতি, কম্পিউটারের সাধারণ গঠন  


 

কম্পিউটার কি? (What is Computer?)

কম্পিউটার একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। কম্পিউটার শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ Compute থেকে, যার অর্থ হচ্ছে গণনা। Computer শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে গণনাকারী যন্ত্র (Calculating Machine) । ইহার সাহায্যে গাণিতিক হিসাব যেমন- যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এবং যুক্তিক ও সিদ্ধান্তমূলক কাজ অতি সহজে নির্ভূলভাবে সম্পন্ন করা যায়। পূর্বে কম্পিউটার দিয়ে শুধুমাত্র হিসাব নিকাশের কাজই করা হতো। কিন্তু বর্তমানে হিসাব নিকাশের কাজ ছাড়াও আরো অনেক কাজ অত্যন্ত নির্ভূলভাবে করা যায়। অর্থ্যাৎ কম্পিউটার এমন একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র বিশেষ যা মানুষের দেয়া নির্দেশসমূহ অত্যন্ত দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে নির্ভূলভাবে সম্পন্ন করতে পারে। কম্পিউটার নিজে নিজে কিছু করতে পারে না। 




কম্পিউটারের কাজের পদ্ধতি (Working Process of Computer)


কম্পিউটার দ্রুত গতি সম্পন্ন নির্ভূল তথ্য (Data) গ্রহণ, সংরক্ষণ এবং ফলাফল প্রদানে সক্ষম একটি আধুনিক ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র।

কম্পিউটার ইনপুট ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য এবং নির্দেশ কম্পিউটারের অভ্যন্তরে প্রেরণ করলে তা গণনা এবং বিশ্লেষনের পরে ফলাফল আউটপুট ব্যবস্থার মাধ্যমে লিখিত অবস্থায় পাওয়া যায়। 


      

      গ্রহণমূলক (Input) প্রক্রিয়াকরণ (Processing) ফলাফল (Output) 


নিচে কম্পিউটারের কাজের পদ্ধতি চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলোঃ 




 কম্পিউটারের সাধারণ গঠন (General Structure of a Computer)

 কম্পিউটারের সাধারণ গঠন বলতে আমরা বুঝি একটি কম্পিউটার কয়টি অংশ নিয়ে গঠিত। একে   আমরা প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি।


১।   ইনপুট ডিভাইস   (Input Device)
২।   কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল   (Central Processing Unit) / (System Unit)
৩।   আউটপুট ডিজাইন   (Output Device)





১। ইনপুট ডিভাইস  (Input Device)

এর মাধ্যমে কম্পিউটারের ভিতরে তথ্য (Data) ও নির্দেশাবলী প্রেরণ করা/দেয়া হয় তাকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমনঃ কী বোর্ড (Keyboard), মাউস (Mouse),  স্ক্যানার  (Scanner), ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera), মাইক্রোফোন (Microphone), লাইট পেন (Light Pen), অপটিক্যাল মার্ক রিডার (OMR) ইত্যাদি।

২। কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল(Central Processing Unit)

কম্পিউটারের যে অংশের মাধ্যমে তার যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রিত ও সম্পন্ন হয়ে থাকে তাকে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা Central Processing Unit বলে। সংক্ষেপে CPU বলা হয়।
কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
       ক) স্মৃতি অঞ্চল (Memory Unit)
       খ) নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল (Control Unit)
       গ) গাণিতিক-যুক্তি অঞ্চল (Arithmetic-Logic Unit) বা ALU

৩।  আউটপু ডিভাইস (Output Device)

যার মাধ্যমে কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের প্রক্রিয়াকৃত ফলাফল পাওয়া যায় তাকে আউটপুট ডিভাইস ডিভাইস বলে। যেমনঃ মনিটর (Monitor), প্রিন্টার (Printer), স্পীকার (Speaker), মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর (Multimedia Projector), প্লোটার (Ploter) ইত্যাদি।




কম্পিউটারের শ্রেণিবিন্যাশ (Classification of Computer)



আধুনিক কম্পিউটারকে ব্যবহারিক ও প্রয়োগের দিক থেকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ       
ক) সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার (General purpose computer)               
খ) বিশেষ উদ্দেশ্যক কম্পিউটার (Special purpose computer)



ক) সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার (General purpose computer)


সাধারণতঃ আমরা যে সমস্ত কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি তার অধিকাংশ সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার।

খ) বিশেষ উদ্দেশ্যক কম্পিউটার(Special purpose computer)

বিশেষ বিশেষ কাজ করার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত কম্পিউটার সমূহকে বিশেষ বিশেষ উদ্দেশ্যক কম্পিউটার  বলা হয়। উদাহরণ স্বরূপ মহাকাশ গবেষণা, অনু বিভাজন গবেষণা, চক্ষু পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম প্রভৃতি কাজের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত কম্পিউটার সমূহ।

       






 পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। এই অংশের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করার জন্য নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।






PDF FILE
WORD FILE