ফ্লপি ডিস্ক (Floppy Disk) 
অস্থায়ী ডিস্ক হিসাবে ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে ডাটা, তথ্যাদি, ছোট খাট প্রোগ্রাম বা অন্যান্য সফটওয়্যার স্থানান্তর করা যায়। ১৯৭৩ সালে IBM Company সর্বপ্রথম ফ্লপি ডিস্ক আবিষ্কার করেন। একটি গোলাকার মাইলার প্লাস্টিক চাকতির এক বা উভয় দিকে ফেরেসো-ফেরিক অক্সাইডের প্রলেপ দিয়ে ফ্লপি ডিস্ক তৈরি করা হয় সুরক্ষার জন্য ফ্লপি ডিস্ককে একটি প্লাস্টিকের শক্ত কভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। ফ্লপি ডিস্কের সামনের দিকে থাকে একটি সাটার বা কভার -এটি হেড স্লট নামক বড় ছিদ্রকে ঢেকে রাখে, আর থাকে দুটি ছিদ্র -ডান দিকের ছিদ্রটি রাইট প্রোটেক্ট হোল এবং বাম দিকেরটি ইনডেক্স হোল। রাইট প্রোটেক্ট হোলের মাধ্যমে ফ্লপি ডিস্ককে রাইট প্রোটেক্ট করা হয়। যদি ছিদ্রটি খোলা থাকে তবে ডিস্কটি রাইট প্রোটেক্ট থাকে, আর যদি ছিদ্রটি ক্লিপের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয় তবে ডিস্কটিতে কোনো কিছু সংরক্ষণ বা মুছে ফেলা যাবে। ইনডেক্স হোলের মাধ্যমে ফ্লপি ডিস্কটি কোন ধরনের তা নির্ণয় করা হয়। অন্যদিকে ফ্লপি ডিস্কের বিপরীত দিকে থাকে স্পিনডল, তা ফ্লপি ডিস্ককে ঘুর্ণয়নে সহায়তা করে। একটি ফ্লপি ডিস্ক যখন ফ্লপি ড্রাইভে ঢুকানো হয়, তখন তার বিপরীত বা পিছন দিক ড্রাইভের যে দিকে বাটন বাতি থাকে সে দিকে রেখে ঢুকাতে হয়। ডিস্ক ড্রাইভে সঠিক ভাবে ঢুকানো হলে একটি আওয়াজ হবে এবং ড্রাইভের বাটনটি সামনের দিকে বেরিয়ে আসবে। আবার ডিস্কটি বের করার সময় বাটনটিতে চাপ দিলে ডিস্কটি ড্রাইভ হতে বের হয়ে আসবে। একটি ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভে থাকা অবস্থায় মিনিটে ৩০০ থেকে ৪০০ বার ঘুরে ফ্লপি ডিস্ক বা হার্ড ডিস্ককে কার্যোপযোগী করার জন্য ফরমেট করতে হয়। ফরমেট হচ্ছে ডিস্ককে বিভিন্ন ভাগে করা। ফ্লপি ডিস্ককে ফরমেট করলে কম্পিউটার ডিস্কের প্রতিটি সাইডকে ১৮টি ট্রেক ৮০ সেক্টরে ভাগ করে। প্রতি সেক্টরের ডাটা ধারণ ক্ষমতা ৫২০ বাইট। যদি কোনো কারণে ডিস্কের ট্রেক নষ্ট হয়ে যায় তবে সম্পূর্ণ ডিস্কই তখন নষ্ট হয়ে যায়। ফ্লপি ডিস্ক বিভিন্ন ধরনের এবং মাপের হয়ে থাকে। যা নিচের ছকে দেখানো হলো। 


https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEidiMUp-9lFgVSWuKgCIOlFI5TSuf60UWZpENOYijAInUfkdwESFiwPpMnvat87MCqhMKIFdjt3sBMk0D74eZrYnUe_cSC-lejhKO5Mvyp1E8bWTaDnIUyjBClBFfRmAEeBf54_X6cCwJY/s400/105.JPG

https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjvjcPNPpghXY6ukcZ8gKNRV7JtQVlrfnmDKk7sehql7Pl8aSWAhu6jV8hT2awlYIriU4aZpLsMPaCcMkGfS9lLcA_eZ9_FOWf2j_KflFPKxZpO9KbPKa0UcLiY7Qw4Ud7yFScsfOZHAe4/s400/104.JPG
 Fig- Internal Structure Of a Floppy

বিট (Bit) বাইট (Byte)
কম্পিউটার কোনো তথ্য বা প্রোগ্রামকে বাইনারী পদ্ধতিতে সংরক্ষিত করে। সে কোনো আক্ষরিক লেখা বা নির্দেশ সরাসরি বুঝে না। কম্পিউটার বুঝে বাইনারী সংখ্যা 0 এবং 1 এক একটিকে বলা হয় বাইনারী সংখ্যা বা Binary Digit Binary Digit -কে সংক্ষেপে বলা হয় BitBit হয় 1 Byte বাইনারী সংখ্যা গণনার পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হলো। 

                                    0, 1                              =                      1 Bit
                                    8 Bit                            =                      1 Byte
                                    1024 Bytes                  =                      1 Kilo Byte (K.B.)
                                    1024 K.B.                    =                      1 Mega Byte (M.B.)
                                    1024 M.B.                   =                      1 Gega Byte (G.B.)


উপরোল্লেখিত পদ্ধতি কম্পিউটারের বিভিন্ন মেমোরী ধারণ ক্ষমতা নির্দেশ করা হয়



বাস সিষ্টেম (Bus System)
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ দেয়ার জন্য যে সকল সংযোগ অন্তবর্তী বর্তনী ব্যবহার করা হয় তাদের বাস বলে। কম্পিউটারের বাস হলো বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগ। যাদের কাজ হলো CPU- যাবতীয় কার্যাদি নিয়ন্ত্রণ, তথ্য আদান-প্রদান ইত্যাদি কম্পিউটারের বাস তিন ধরনের -

    ) ডাটা বাস (Data Bus)
    ) কন্ট্রোল বাস (Control Bus)
    ) এ্যাড্রেস বাস(Address Bus)

১। ডাটা বাস (Data Bus)
    Input / Output Device হতে যে সকল সংযোগের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয় তাদেরকে ডাটা বাস বলা হয়। এই সকল সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটার Input Device হতে তথ্য গ্রহণ করে এবং কার্য সম্পাদনের পর সেই সকল তথ্য Output Device - প্রেরণ করে। যেহেতু ডাটা বাস মারফত তথ্য উভয় দিকে যাতায়াত করে এই জন্য এই বাস দ্বিমুখী বা Bidirectional হয়ে থাকে। এর ফলে একই ডাটা বাসের সঙ্গে CPU, RAM, ROM এবং I/O Port Controller Peripheral IC গুলি লাগানো হয়। 

২। কন্ট্রোল বাস (Control Bus)
    CPU হতে কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে যেমনRAM, ROM এবং I/O Port Controller Peripheral IC গুলিতে যে সকল সংযোগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সংকেত প্রেরণ করা হয় তাদেরকে কন্ট্রোল বাস বলা হয়। কন্ট্রোল বাসের কাজ হচ্ছে CPU হতে বিভিন্ন নির্দেশ বিভিন্ন অংশে আদান প্রদানের মাধ্যমে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কম্পিউটারকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা। এটিও দ্বিমুখী বা Bidirectional হয়ে থাকে। 

 ৩। এ্যাড্রেস বাস (Address Bus)
      CPU হতে যে সংযোগ বেরিয়ে এসে অভ্যন্তরীণ মেমোরীর সাথে সংযুক্ত হয় তাদেরকে এ্যাড্রেস বাস বলে। যা CPU, ROM এবং RAM এর বিভিন্ন Memory Location এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে সেই যায়গায় রক্ষিত তথ্য ডাটা বাসের মাধ্যমে পড়ে নেয় এবং নতুন তথ্য লিখে রাখে। এ্যাড্রেস বাস ডাটা বাস কিংবা কন্ট্রোল বাসের ন্যায় Bidirectional নয়। 


মাইক্রো কম্পিউটার পদ্ধতি (Micro Computer System)
    মাইক্রো-কম্পিউটার পদ্ধতি বলতে আমরা বুঝি একটি কম্পিউটার কয়টি অংশ নিয়ে গঠিত। নূন্যতম চারটি অংশ নিয়ে একটি মাইক্রো-কম্পিউটার গঠিত-


    ) সিস্টেম ইউনিট (System Unit)
    ) কী-বোর্ড (Key Board)
    ) মনিটর (Monitor)
    ) মাউস (Mouse)


এছাড়া সম্পূর্ণ একটি মাইক্রো-কম্পিউটার পদ্ধতি সম্পন্ন হতে একজন ব্যবহারকারী (User) প্রয়োজন।