মেমোরী (Memory) বা স্মৃতিঃ
মেমোরী একটি কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় অংশ। ইহা বিভিন্ন নির্দেশাবলী এবং তথ্য বাইনারী পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে থাকে। কোনো তথ্য ও প্রোগ্রাম সংরক্ষণ ও চালানোর ক্ষেত্রে মেমোরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোনো প্রোগ্রাম চালু হওয়ার পর কোনো কাজ করলে সেই কাজ সংরক্ষণ করাও মেমোরীর কাজ। কাজের উপর ভিত্তি করে মেমোরী প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
১) Main Memory (প্রধান মেমোরী/স্মৃতি)
২) Auxiliary Memory (সহায়ক বা সাহায্যকারী মেমোরী/স্মৃতি)
১। Main Memory (প্রধান মেমোরী/স্মৃতি)
প্রধান মেমোরী এই অংশের সাথে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের সংযোগ থাকে বলে এই মেমোরীকে প্রধান মেমোরী বলা হয়। প্রোগ্রাম নির্বাহ ও কম্পিউটার চালু করণের ক্ষেত্রে এই মেমোরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু প্রাথমিক পর্যায়ের সকল কাজ মেমোরীর এই অংশে সম্পন্ন হয় এই জন্য প্রধান মেমোরীকে Primary Storage
Device -ও বলা হয়। এই মেমোরীকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়-
ক) ROM (Read Only Memory)
খ) RAM (Random Access Memory)
ক) ROM (Read Only Memory)
প্রধান মেমোরীর এই অংশ হলো কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরী/স্মৃতি। এই অংশের লেখাগুলোকে শুধু পড়া যায়, এখানে কোনো কিছু লেখা যায় না। স্মৃতি এই অংশে কিভাবে চলবে, কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিভাবে কাজ করবে এবং যন্ত্রাংশের বিবরণ সংক্ষিপ্ত আকারে দেয়া থাকে। এটি কম্পিউটারের মাদার বোর্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাদার বোর্ড তৈরীর সময়ই মাদার বোর্ডের সাথে দিয়ে দেয়। এর অপর নাম
BIOS (Basic Input System)। এর সাইজ হচ্ছে ৬৪০ কিলোবাইট। এই অংশের লেখাগুলো বিদ্যুৎ চলে গেলেও মুছে যায় না।
খ) RAM (Random Access Memory)
প্রধান মেমোরীর এই অংশ প্রোগ্রাম নির্বাহ ও আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম লোড করা, কোনো প্রোগ্রাম চালু করা, আমাদের নিজস্ব কোনো কাজ সম্পাদন করা ইত্যাদি এই মেমোরীর কাজ। মেমোরী এই অংশে যে কোনো কিছু লেখা, মুছা ও পড়া যায়। এই জন্য এই মেমোরীকে Read
Write Memory- ও বলা হয়। এটি একটি অস্থায়ী মেমোরী, কারণ বিদ্যুৎ চলে গেলে এই মেমোরীতে সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায়, এই জন্য এই মেমোরীতে সংরক্ষিত কাজ অন্য যায়গায় সংরক্ষণ করতে হয়। কম্পিউটার ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন অনুযায়ী এই মেমোরী মাদার বোর্ডের মেমোরী স্লটে লাগিয়ে নিয়ে থাকেন।
২। Auxiliary Memory (সহায়ক বা সাহায্যকারী মেমোরী/স্মৃতি)
যেহেতু RAM-এ সংরক্ষিত তথ্য বিদ্যুৎ চলে গেলে বা কম্পিউটার বন্ধ করলে মুছে যায় তাই RAM-এ সংরক্ষিত তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য যে সকল মেমোরী ডিভাইস ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে Auxiliary Memory (সহায়ক বা সাহায্যকারী মেমোরী/স্মৃতি) বলে। সহায়ক মেমোরীতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুসারে সংরক্ষিত রাখেন ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সম্পাদিত কাজ সংরক্ষণ করে। কোনো প্রোগ্রাম চালু করলে কম্পিউটার তার সহায়ক মেমোরী হতে সে প্রোগ্রামটিকে প্রথমে পড়ে RAM-এ নিয়ে নেয় তারপর সেখান হতে চালু করে। কম্পিউটার সহায়ক মেমোরী হিসাবে বিভিন্ন প্রকার ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। যেমন- Hard Disk, Floppy Disk,
Magnetic Tape, CD-ROM, DVD-ROM ইত্যাদি। এদের মধ্যে Hard
Disk I Floppy Disk হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত সহায়ক মেমোরী। যেহেতু RAM-এ সংরক্ষিত কাজ দ্বিতীয় ধাপে এই সকল মেমোরীতে সংরক্ষণ করা হয় সে জন্য এই মেমোরীকে Secondary Storage Device-ও বলা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ