কম্পিউটার ব্যবহারের উদ্দেশ্য (গুরুত্ব)
      আধুনিক সভ্যতার এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে আজ কম্পিউটার ব্যবহৃত না হচ্ছে। কম্পিউটার ছাড়া বর্তমান যুগ অচল। শিক্ষা, অফিস-আদালত, কল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকিং, চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রকাশনা, সংবাদপত্র, টেলি-কমিউনিকেশন, কৃষি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিনোদন ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। নিম্ন-লিখিত গুরুত্বের জন্য কম্পিউটারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে
১। দ্রুততাঃ কম্পিউটারকে দেয়া নির্দেশ অনুসারে অত্যন্ত দ্রুত গতি যে কোন কাজ সম্পন্ন করতে পারে
২। নির্ভুলতাঃ মানুষ ভুল করে কিন্তু যন্ত্র ভুল করে না- কথাটি কম্পিউটারের ক্ষেত্রে  প্রমাণিত। কম্পিউটার যে কোনো কাজ তাকে নির্দেশ অনুসারে সম্পন্ন করে থাকে। যদি তাকে ভুল নির্দেশ দেয়া হয় তবে সে ভুল করবে। কম্পিউটার নিজে কোনো কাজ করতে পারে না। তাকে যে পরিচালনা করে সে ভুল না করলে কম্পিউটার কখনো ভুল করে না
৩। সঞ্চয় ক্ষমতাঃ কম্পিউটার প্রচুর উপাত্ত বা তথ্য তার মেমোরীতে ধারণ করতে পারে। ফলে কোন বিশাল কাজ অত্যন্ত দ্রæততার সঙ্গে করা সম্ভব। সঞ্চিত তথ্য পরবর্তীতে যে কোনো সময়ে উত্তোলন করে কাজ করা সম্ভব
কম খরচে কাজ সম্পাদনঃ কম্পিউটার খুব দ্রæ গতিতে কাজ করে বলে যে কোনো বড় জটিল কাজ কম্পিউটারে প্রক্রিয়াকরনের ফলে খরচ অনেক কমে যায়
৫। জটিল কাজ করার ক্ষমতাঃ সাধারণ মানুষের পক্ষে যে সকল কাজ করা প্রায় অসম্ভব, সে সকল কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ তেজস্ক্রিয় পদার্থের পারমানবিক বিভাজন সম্পর্কীয় গবেষণা, মহাকাশ গবেষণা, আবহাওয়ার ভবিষ্যৎবাণী, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কীত গবেষণা প্রভৃতির উল্লেখ করা যেতে পারে
৬। ক্লান্তিহীনতাঃ মানুষ কাজ করার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু কম্পিউটারের কোনো ক্লান্তি নেই। বৈদ্যুতিক গোলযোগ না হলে বড় বড় কম্পিউটার এক মুহূর্তও বিশ্রাম না নিয়ে সারা বছর কাজ করতে পারে
৭। যোগাযোগ বিনোদনঃ কম্পিউটারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার যোগাযোগ বিনোদনের ক্ষেত্রে। টেলিযোগাযোগ, গাড়ী চালনা, রেল বিমান চালনা এবং টিকিট রির্জাভেশন, সংবাদ আদান-প্রদান, কৃত্রিম উপগ্রহ, মহাকাশ ষ্টেশন এর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালনা, সিনেমাতে স্পেশাল এফেক্ট তৈরি, প্রকাশনা জগ ইত্যাদিতে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়



কম্পিউটার সংগঠন (Organization of Computer)
    কম্পিউটার সংগঠন একটি বিস্তৃত পদ্ধতি। ইনটিগ্রেটেড সার্কিট, মাইক্রোপ্রসেসর, হার্ডডিস্ক ডিস্ক ড্রাইফ প্রিন্টার ইত্যাদি নিয়ে এই পদ্ধতি গঠিত। কম্পিউটারের এসব যান্ত্রিক সংগঠনকে হার্ডওয়্যার বলা হয়। আধুনিক কম্পিউটার পদ্ধতির প্রধান সাংগঠনিক অংশগুলো হলোঃ

    গ্রহণমুখ অংশ (Input Unit)
    স্মৃতি অংশ (Memory Unit)
    গাণিতিক/যুক্তি অংশ (Arithmetic / Logic Unit-ALU)
    নিয়ন্ত্রণ অংশ (Control Unit) এবং
    নির্গমনমুখ অংশ (Output Unit)

    একটি কম্পিউটারের ব্লক ডায়াগ্রাম নিম্নরূপঃ



https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZHaMquhMCg8rG_MT2yZgIq6qJclrCrbbCaSZbeSJ6hRPyvLTub7KSFN_JEDkl9fniqDWQiAbxWMZGtNX6Upio74oyGalPMeYbZLp8wDWuHtvUqQoiEchSXlAtiru1PBdoqNoIUKLq_0E/s640/103.JPG